সোনার-হরিণ

হায়রে! সোনার হরিণ!!

বর্তমান বাজারে জব পাওয়া যেমন কঠিন। জব টিকিয়ে রাখা তার চেয়ে আরও বেশি কঠিন। জব সার্চ করতে যেমন বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে ঢু মারতে হয় তেমনি ধর্ণা দিতে হয় বিভন্ন সিনিয়রের নিকট বা দপ্তরে। তেমনি জব টিকিয়ে রাখতে নিজেকে সব সময় একটা চ্যালেন্জের মোকাবেলা করতে হয়। নিজে নতুন নতুন চ্যালেন্জের জন্য তৈরি হওয়া। প্রতি পক্ষের ঘায়েল সামলে কাজ করতে শেখা। অধীনস্তদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, উর্ধ্বতনদের মন রক্ষা করা ইত্যাদি। এসমস্ত চেলেন্জের কারনে চাকুরী এখন আমাদের কাছে সোনার হরিণ। এই সোনার হরিণ ধরতে এবং পালতে পুষতে আমরা রীতিমতো হয়রান পেরেশান। এই বিষয় গুলো যেমন আমাদের নিকট সত্য তেমনি এসমস্ত চলমান সত্যের বাইরে অন্য আরও একটা সত্য লুকিয়ে আছে। কি বুঝতে পারলেন না তো? তাহলে একটা ঘটনা বলি ধর্য্য ধরে একটু কষ্ট করে পড়ুন।

আমি দেশের একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের ফ্যাক্টারীতে কর্মরত আছি। আমাদের ফ্যাক্টারীর এডমিন ডিপার্টমেন্টর সেফটি সিকিউরিটি জন্য একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা অথবা নৌকর্মকর্তা নিয়োগের জন্য লিংকড-ইনের মাধ্যমে পোষ্ট দেওয়ার পর ফলাফল শুণ্য দেখে পূর্ব পরিচিত একজন ভদ্রলোকের বাড়িতে ছুটলাম বাইক নিয়ে। অফিস থেকে ২২ কিঃ মিঃ দুরে দুর্গম পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে যখন তার বাড়িতে গিয়ে তার নিজ মুখে শুনলাম তিনি এখন আর চাকুরি করতে চান না তখন পথের কষ্টের কথা ভেবে আর অফিসে ফিরতে মন চাচ্ছিল না। একেতো পাহাড়ি পথ তার উপর রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ এবং সন্ধ্যাও হয়ে আসতেছিল। কিন্তু না ফিরে উপায় কি??

অথচ এখান থেকে মাস তিনেক আগে যখন তার সাথে প্রথম দেখা ও পরিচয় হয়েছিল তখন অনেক আকুতি করে বলে ছিল তার জন্য সিকিউরিটি গার্ড হলেও যেন একটা চাকুরির ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সেই ব্যক্তিই এখন কিনা বলতেছেন চাকুরি করবেন না। দুঃখে আমার নিজেকে বোকা বোকা লাগতেছিল।

মোঃ শফিকুল ইসলাম প্রিয়

এই প্রকাশনাটির সর্বস্বত্ত লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত। এই প্রকাশনার আংশিক বা সম্পুণাংশ অন্য যেকোন মিডিয়াতে লেখকের নামে ছাড়া অন্য কারও নামে প্রকাশ করা কপিরাইট আইন এ দন্ডনীয় অপরাধ হিসাবে গন্য হবে।...

মন্তব্য করুন

Recent Comments

error: কন্টেন্ট কপি এবং পেস্ট protected!!