তিত পুঁটিদের ঝাঁক

বেতনা নদীর স্বচ্ছ জলে তিত পুঁটিদের ঝাঁক
রং বাহারি পুচ্ছ মেলে দিচ্ছে ক্রীড়া কেলির ডাক

রইনা মাছের অলস দুপুর কাটছে হেলেদুলে
বেলে মাছ গড়িয়ে পড়ে ঢেউয়ের তাল তালে

ঊলকো মাছের পোনারা সবা বুঁজবুড়ি দেয় নিত্য
চেলা মাছের হোল মারাতে নদীর পানি হয় উদ্দীপ্ত

তেচোঁখো মাছের অবাক চাওয়া মন ভুলিয়ে দেয়
খোরশোল্লা মাছ পাখায় উড়ে ঝিঁঝি ধরতে চায়

হাঁস গুলো সবাই দিচ্ছে ডুব গুগলি তোলার তরে
কুজো বক ঝুকে থেকে ঝায়া মাছকে ধরে

মায়া মাছের মায়ার শরীর তেল চুইয়ে পড়ে
দাপিয়ে বেড়ায় ছেলের দল কলার ভেলায় চড়ে

খোলসে মাছের ফপর দালালী চলছে সেথায় রাতদিন
দাদা গিরি দেখলে তাহার, মাথা করে চিনচিন

রুই কাতলা আর বোয়াল মাছের নেই যে কোনো অবসর
খাবার খোজে আপন মনে গড়তে নিজের সংসার

ভেদা মাছে মারছে চাটি রুই কাতলা যেন কিছুই না
শোল মাছের সব গা সওয়া যেন দেখেও কিছু দেখে না

চিতল মাছের উপুশ দেখে হৃদয় মাঝে খাবল দেয়
মাগুর মাছের শিং নাচুনে পিত্তি জ্বলে সদাই হায়

পানকৌড়ির ডানায় ঝরে সোনালী রোদ সকালে
বকের সারি ফিরছে নীড়ে গোধুলী রং আকাশে

আবির মাখা আকাশ যেন বঁধূর বেশে সাজানো
হৃদয় মাঝে কাটছে দাগ স্মৃতির বাঁশি বাজানো

সন্ধ্যা হলে জোঁনাক পোকা পিদিম জ্বেলে চলে
বাঁশের ঝাড়ে শালিক পাখি কিচিরমিচির ডাকে

রাত প্রহরে বেতনা পারে পাতি শিয়ালের ডাক
ভয় কাপনে মনটা আমার কাপছে যে ঠকঠক

আধার রাতে ঢেঁড়ে খালে ডাহুক পাখির ডাক
হৃদ আকাশে দোটানায় মন পাই বিপদের ছাপ

মাঝ রাতেতে খুল্লে পেঁচা ক্যাচর ক্যাচর ডাকে
ঘুম হারা মন এবার বুঝি সন্দেহতে মাতে

ভুঁতম পেঁচার ভুত ভুতমে বাচ্চারা সব জব্দ
ঘুম না পেলেও শব্দটি নেই এক্কেবারে ছদ্দ

বেতনা পাড়ের এসব দৃশ্য এখন শুধু স্মৃতিময়
বেতনা এখন বৃদ্ধা হেন বুকের মাঝে মৃত্যু ভয়।

১০।০৪।২০২৩ বিকাল ৫.০০টা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক, সিলেট।

মোঃ শফিকুল ইসলাম প্রিয়

এই প্রকাশনাটির সর্বস্বত্ত লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত। এই প্রকাশনার আংশিক বা সম্পুণাংশ অন্য যেকোন মিডিয়াতে লেখকের নামে ছাড়া অন্য কারও নামে প্রকাশ করা কপিরাইট আইন এ দন্ডনীয় অপরাধ হিসাবে গন্য হবে।...

মন্তব্য করুন

error: কন্টেন্ট কপি এবং পেস্ট protected!!